গাজীপুর মহানগরীতে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অনুমোদনহীন ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন। 174 0
ছবি,অনুমোদনহীন ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন।
আলমগীর কবীর,গাজীপুর থেকে
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন নাওজোড় ইটাহাটা এলাকায় কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ভবন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভবন নির্মাণ না করায় আশপাশের বেশ কিছু বাড়ি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কিভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ হয় তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে?
এ বিষয়ে, রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) ৬ মে ২০২০ তারিখে ভবন মালিক মাসুদ হাসান কে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ প্রদান করেন। রাজউক কতৃপক্ষের প্রেরিত নোটিশের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রাখায়, রাজউক কতৃপক্ষ নিকটস্থ থানায় ভবন মালিকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে, বাসন থানা পুলিশ ওই ভবনে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়ে আসলেও নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, অনুমোদনবিহীন ও নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে চলছে এ ভবনের কাজ। আমরা ভবন মালিক মাসুদ হাসানকে একাধিক বার এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন তৈরি না করতে অনুরোধ করেছি। তিনি আমাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেননি। বরং তার কাছ থেকে আমাদের হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে। যেখানে ভবন মালিক সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ও প্রশাসন কে এভয়েড করেছেন, সেখানে তো আমরা সাধারণ জনগণ!
আরেক জন বাসিন্দা জানান. এ ভবনটি ঘেঁষেই আমাদের বাসা বাড়ি। ছোট ছোট বাচ্চা সহ পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের বসবাস করতে হয়। এ ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে, যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে সে আশংকায়'ই আছি।
এছাড়াও ভবন মালিক মাসুদ হাসানের বিরুদ্ধে্ একাধিক জায়গা জোড়পূর্বক ভাবে জায়গা দখল করে এ ভবনটি নির্মানের ও অভিযোগ রয়েছে।
ভবনের মালিক মাসুদ হাসান নাওজুড়ী মৌজায় ইয়ন নীট কম্পোজিট লিমিটেড কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা থেকে ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে নিম্নেে দাগ নাম্বার আর এস ৯১৩,৯০৪ ও ৯১১ যার খতিয়ান নংঃ ১১২ মোট জমির পরিমাণ ৩০.০৫ শতাংশ এর উপর বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ব্যাংক লোনের ব্যাপারেও প্রশ্ন থেকে যায়,৩০.৫ শতাংশ জমির উপর বন্ধকী লোনের ক্ষেত্রে সি এস,এসএ,আর এস সত্যায়িত কপিস,হারনাগাদ খাজনার রশীদ কপি , বায়া দলিল,হালনাগাদ ও ডিসি আর সহ প্রায় ২০-২২ ধরণের কাগজপত্র একান্ত প্রয়োজন । এলাকাবাসী জানান,ব্যাংকের লোকদেরকেও বোকা বানিয়েছেন এই মাসুদ হাসান ।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, আবুল হোসেন পিতা মৃতঃছাবেদ আলী, নাওজোড় ওয়ার্ড নংঃ১৩ এর পৈতৃক সূএে প্রাপ্ত জমি ১৪.৭৫ শতাংশ এর মধ্যে ৬.৭৫ শতাংশ ওই নির্মাণাধীন ভবনে রয়েছে।
এদিকে, নির্মাণাধীন ভবন মালিক মাসুদ হাসানের চাচা আঃ মোতালেব জানায়, মাসুদ হাসানের দখলকৃত ৩০.০৫ শতাংশ জমিতে পৈতৃক সূএে প্রাপ্ত জমির ৯.০৫ শতাংশ জমি তার রয়েছে।
আঃ হামিদের পৈতৃক সূএে প্রাপ্ত জমির ২.০৫ শতাংশ জমি জোড়পূর্বক দখল করেছে মাসুদ হাসান। নাসির উদ্দীন, পিতা মৃতঃ জসিম উদ্দিন পৈতৃক সূএে প্রাপ্ত জমির অর্ধ শতাংশ জমি ও দখল করে ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, অন্যের জমি দখল করে লে-আউট প্ল্যান ব্যতীত আর্কিটেক্ট প্রকৌশলী, রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) জোনাল অফিস, গাজীপুর'র অনুমতি ছাড়া, বিশ্ব ব্যাপী করোনা কালীন সময়ে তড়িঘড়ি করে সুকৌশলে ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে।